সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন
Uncategorized

আজ ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত নায়ক ফারুকের শুভ জন্মদিন

জমজমাট ডেস্ক
  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২২

রঞ্জু সরকার

আজ (১৮ আগস্ট) মিয়া ভাই খ্যাত নায়ক ফারুকের জন্মদিন। ১৯৪৮ সালে মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। গত দুই বছর ধরে ফারুকের জন্মদিন কাটছে হাসপাতালের বিছানায়। গত বছর এই নায়কের জন্মদিন আইসিইউতে কাটলেও এবার কাটছে কেবিনে। তবে আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ এই নায়ক।

বাংলা চলচ্চিত্রে মিয়াভাই খ্যাতি পাওয়া জনপ্রিয় একজন অভিনেতার নাম ফারুক। যার পুরো নাম আকবার হোসেন পাঠান দুলু। যিনি ফারুক নামে অধিক পরিচিত। শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। বলিষ্ঠ অভিনয় দিয়ে দর্শক হৃদয়ে স্থায়ী আসন গড়ে নিয়েছেন তিনি। তার আরেকটি পরিচয় তিনি রাজনৈতিক নেতা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য।

মানুষের জীবনে জন্মদিন আসে আনন্দঘন পরিবেশে সুখের বার্তা নিয়ে। কিন্তু ফারুকের জীবনে এবার এমন একটা জন্মদিন এলো, যখন তাকে জীবনের সঙ্গে প্রাণপণ লড়াই করতে হচ্ছে হাসপাতালে থেকে। জন্মদিনেও নিথর, নীরব দেহে শুয়ে থাকতে হচ্ছে হাসপাতালে।

গত ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাভেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফারুক। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও মস্তিষ্কজনিত জটিলতায় ভুগছেন বরেণ্য এই অভিনেতা। এছাড়া তার রক্তে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণও ধরা পড়েছে। এ কারণে এক বছর ধরেই তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জন্মদিন উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন তিনি। ফারুক বলেন, ‘আমার জন্মদিনে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাই। সবার কাছে আমার অনুরোধ, গুজবে কান দেবেন না। আমি আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। ইনশাআল্লাহ, শিগগিরই দেশে ফিরব।

ফারুকের বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে মুঠোফোনে নায়কের স্ত্রী ফারহানা পাঠান বলেন, ‘আপনাদের মিয়া ভাই আগের থেকে অনেক ভালো আছেন। সেভাবে আর সমস্যা নেই। জন্মদিনে তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে বছরের শেষ দিয়ে তাকে নিয়ে দেশে ফিরতে পারব। সবাই দোয়া করবেন।’

৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর থেকে জন্মদিন পালন করেন না ফারুক। একান্ত এক আলাপে ২০২০ সালের জন্মদিনে ফারুক বলেছিলেন, ‘আগস্ট মাস শোকের মাস। ৭৫ এর ১৫ আগস্টের সেই কালো রাতের পর থেকে বাঙালি জাতির জন্য এই আগস্ট মাস শোকের মাস, বেদনার মাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর আমার জীবন থেকে জন্মদিন পালন বা কেক কাটা তুলে নিয়েছি। আমি ৪৫ বছর ধরে জন্মদিনের কেক কাটি না।’

১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। ১৯৭৩ সালে খান আতাউর রহমান পরিচালিত ‘আবার তোরা মানুষ হয়’। ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘আলোর মিছিল’ দুটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন ফারুক।

এরপর ১৯৭৫ সালে গ্রামীণ পটভূমিতে নির্মিত ‘সুজন সখী’ ও ‘লাঠিয়াল’ দুটি ব্যবসা সফল ও আলোচিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং সে বছর ‘লাঠিয়াল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব চরিত্রে অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এই নায়ক।

১৯৭৬ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত ৩টি সিনেমা, ‘সূর্যগ্রহণ’, ‘মাটির মায়া’ ও ‘নয়নমণি’। আর এই চলচ্চিত্র ৩টি বিভিন্ন বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। পরের বছর শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত কালজয়ী উপন্যাস ‘সারেং বৌ’ অবলম্বনে নির্মিত ‘সারেং বৌ’ ও আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৬ তাকে আজীবন সন্মাননা দেয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© All rights reserved © 2018 jamjamat.net
ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট : উইন্সার বাংলাদেশ