নায়ক রাজ রাজ্জাক চলচ্চিত্রের জন্য একজন নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। আজও চলচ্চিত্র বেঁচে আছে, চলচ্চিত্র শিল্পে একটা অবস্থান তৈরি হয়েছে তাতে রাজ্জাক ভাইয়ের অবদান অনেক বেশি। যখন কেউ ছিলেন না তখন তিনিই এই ইন্ডাস্ট্রি একাই টেনে নেন। চলচ্চিত্রে তার অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। চলচ্চিত্রে তিনি থাকা মানেই বিরাট ব্যাপার৷ যে যত কথাই বলুক না কেন তার চলচ্চিত্রের কাছাকাছি কেউ যেতে পারেনি। সত্যিকার অর্থে তিনি আমাদের চলচ্চিত্রের অবিভাবক ছিলেন। যে কোনো সমস্যা সমাধানে তিনি ছুটে আসতেন। সবসময় তিনি সবার সাথে মিলেমিশে ছিলেন৷ নায়ক রাজ রাজ্জাকের জন্মদিনে স্মৃতিচারণ করে এভাবেই বলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান।
তিনি আরো বলেন, রাজ রাজ্জাক শিখিয়ে দিয়ে গেছেন মানুষের সাথে কেমন সম্পর্ক হতে পারে৷ শিল্পীদের সাথে শিল্পীদের কেমন সম্পর্ক হবে। কীভাবে কাজ করলে চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়ন হয় সেই দিকে তার নজর ছিল। সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। যে কোনো চরিত্রে তিনি অতুলনীয়। তার অবদান কখনো ভোলার নয়৷ চলচ্চিত্র করতে গিয়ে কতটা আনন্দ করা যায় তা তার শুটিং থেকে শেখা। তাকে নিয়ে একটি কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। তবে মান্না এবং তার মৃত্যুতে সেটি আর শেষ করা সম্ভব হয়নি। রাজ্জাক ভাই সবসময় সন্তানের মতো দেখতেন৷
আক্ষেপ জানিয়ে এই নির্মাতা বলেন, তিনি চলচ্চিত্রে অপরিসীম ভূমিকা রাখলেও তার নামে নেই কোনো স্মৃতিফলক। তার নামে স্মৃতিফলক হওয়া উচিত। এফডিসিতে নতুন যে বিল্ডিং হচ্ছে সেটা যদি রাজ্জাক ভাইয়ের নামে উৎসর্গ করি তাহলে সেটি ভালো হয়। তার এতো অবদান তা উল্লেখ করে শেষ করা যাবে না। এটি রেডি হলেই কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলব। পুরো বিল্ডিং না হলেও অত্যন্ত একটি ফ্লোর যেন হয়।
যোগ করে তিনি বলেন, সালমান শাহর নামেও কিছু করার ইচ্ছে আছে। জাফর ইকবাল, ওয়াসিম ভাইসহ যাদের চলচ্চিত্রে অনেক অবদান রয়েছে তাদের অবশ্যই স্মরণীয় করে রাখার জন্য কিছু করা দরকার। এক সময় আমরা থাকবো না কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি থেকে যাবে। তখনকার নতুন প্রজন্ম স্মরণীয় এই জিনিসগুলো দিয়ে তাদের সম্পর্কে জানবে। এটি তৈরি করতে পারলে আগামী প্রজন্ম এটি শুদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
Leave a Reply