জমজমাট প্রতিবেদক
অভিনেত্রী অহনা রহমান তরুণ প্রজন্মের টিভি অভিনেতা শামীম হাসান সরকারে সঙ্গে জুটি বেঁধে একের পর এক নাটকে অভিনয় করছেন। তাদের অনস্ক্রিন রসায়ন যতটা মধুর, বাস্তব জীবনে তাদের সম্পর্ক আরও বেশি মধুর। ধারণা করা হচ্ছে – তারা পর্দার সম্পর্ক ছাড়িয়ে বাস্তব জীবনেও প্রেমে জড়িয়েছেন। অবশ্য এই ধারণা একেবারেই অবান্তর নয়। কেননা তাদের ফেসবুক আইডির কাভার ফটো করা হয়েছে দুজনের রোম্যান্টিক ছবি দিয়ে। আবার রয়েছে উপহার দেওয়ার প্রকাশ্য পোস্ট। এগুলো তো পর্দার আড়ালে নতুন সম্পর্কের সুস্পষ্ট ইঙ্গিতই দেয়। তাছাড়া গেলো কয়েক মাসে তারা এত বেশি নাটকে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন, অন্য কোনও জুটি এই সংখ্যার ধারে-কাছেও নেই।
অহনার সঙ্গে পর্দার রসায়ন এবং বাস্তব জীবনের সম্পর্ক দুটো বিষয় নিয়েই সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন শামীম হাসান সরকার। তিনি জানান, গেলো মাত্র আড়াই মাসে তারা ১৮টি নাটকে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। ১৩ ডিসেম্বর তারা ১৯তম নাটকের শুটিং করেছেন বলে জানা গেছে। আড়াই মাসে ১৮ নাটকে অভিনয়ের আড়ালে বাস্তবে তাদের প্রেম চলছে – এমন গুঞ্জন সম্পর্কে শামীম হাসান সরকার বলেন, আমরা কোনও সম্পর্কের মধ্যে নেই। আমরা পস্পর খুব ভালো বন্ধু। তাছাড়া অভিনয়ের ক্ষেত্রে আমাদের বোঝাপড়া দারুণ। অভিনয় করতে গেলে তো আসলে সহশিল্পীদের কাউন্টার দিতে হয়। তো যখন একজন ভালো অভিনেত্রী পাশে থাকে, তখন নিজের স্পিডও বেড়ে যায়। এ কারণে আমিও কাজগুলো উপভোগ করছি।
অনেকেই বলেন, একসঙ্গে প্রচুর কাজ হলে তাতে অভিনয়ের বৈচিত্র্য ধরে রাখা যায় না! এই প্রসঙ্গে তার বক্তব্য হলো – এই ফাঁকে কিন্তু আমি সারিকা সাবাহর সঙ্গেও কাজ করছি। যেমন সামনেই দুটো নাটকের শুটিং আছে ওর সঙ্গে। অহনার সঙ্গে কাজ বেশি হচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি কাজগুলো যেনো বিরক্তিকর না হয়ে যায়। এজন্য বিভিন্ন ধরণের গল্পে-চরিত্রে কাজ করছি আমরা
কাভার ছবির প্রসঙ্গে শামীম হাসান সরকারের মন্তব্য, পেশাগত জায়গা থেকে আমাদের জুটি দর্শকরা পছন্দ করছেন, আমরাও উপভোগ করছি। এটা ‘শ্বশুরবাড়ি নোয়াখালী ২’ নাটকের ছবি। আমি ক্যাপশনে কিছু বলিনি বা হার্ট ইমোজি দেইনি। তবে হ্যাঁ, একটা মানুষ কভার ছবিতে তখনই স্থান পায়, যখন সে ক্লোজেস্ট হয়। অহনা সত্যিই আমার ক্লোজেস্ট ওয়ান। যাকে মনের কথা বলা যায়। আমরা দুজন দুজনকে খুব ভালো বুঝি। পাল্টা প্রশ্ন ছিল – তাহলে এই সম্পর্কের নাম কী ? তার উত্তর ছিল – এখনও এটা শুধুই বন্ধুত্ব। যদি সম্পর্ক হয়, তাহলে আমরা পাবলিকলি অবশ্যই বলবো। এটা লুকানোর কিছু নেই, লুকানো যায়ও না। ব্যাপারটা এরকম হলে আমি এখনই স্টেটমেন্ট দিয়ে দিতাম। কিন্তু সেরকম কিছু না আসলে।
বন্ধুত্বের সম্পর্কটা প্রেম – বিয়ে পর্যন্ত গড়ানোর সম্ভাবনা প্রসঙ্গে শামীম হাসান সরকার বলেন, সম্ভাবনার কথা তো বলা যায় না। এটা তো জীবন। এভাবে আসলে ভেবে দেখিনি এখনও। আমাদের পরিবারও এই বন্ধুত্বকে অ্যাপ্রিসিয়েট করে। দুজন দুজনের বাসায় গেছি। শুটিং থেকে ঘোরাফেরা, পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হওয়া এই বন্ডিংটা হয়েছে। যদি প্রেম হতো, তাহলে বাবা – মাকেও জানাতাম।
উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর মধ্যরাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দুটো ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী অহনা রহমান। যেখানে তিনি ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন নীল রঙা একটি শাড়িতে। ক্যাপশনে জানান, শাড়িটি তাকে উপহার দিয়েছেন অভিনেতা শামীম হাসান সরকার। সঙ্গে জুড়ে দেন মনের ভাবনা – অম্বর ছেয়ে গেছে নীলাচলে, দৃষ্টি বয়ে গেছে গহীন বনে। এর ঠিক একদিন পরই শামীম হাসান সরকার তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের কাভারে অহনার সঙ্গে তোলা ছবিটি দেন। যদিও তিনি নিজে ক্যাপশনে কিছু বলেননি, তবে দুজনের মধ্যে ‘সম্পর্কে’র ইঙ্গিত খুঁজে পায় নেটিজেনরা। মন্তব্যের ঘরে চোখ রাখলে সেটা স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয়। অনুসারীদের এই জল্পনা বাস্তবে রূপ নেয় কিনা, সেটাই এখন দেখার পালা।