‘মৌলিক নাটক পরিচালক যারা নাটকের সাথে জড়িত, তারা মূলত সরাসরি টিভি কিংবা ইউটিউব চ্যানেল অথবা পেশাদারী প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সাথেই কাজ করতে চান। দেশে বর্তমানে দুই ধরনের প্রযোজক আছে। একটা হচ্ছে পেশাদারী প্রযোজক আরেকটা মৌসুমী প্রযোজক। মৌসুমী প্রযোজকদের কাজ করা কঠিন। তাদের বিভিন্ন শর্ত মেনে কাজ করা যায় না। যেসব পেশাদারী প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আছে তারা স্বজনপ্রীতি করে, যাদের সাথে সম্পর্ক ভালো তাদেরকে নিয়ে নাটক বানাচ্ছে। যারা নাটকের সিনিয়র নির্মাতা আছে, যারা দীর্ঘদিন নাটক নির্মানের সাথে জড়িত, নাটক নির্মানই তাদের পেশা। অনেক কারণেই তারা তাদের পেশাকে ধরে রাখতে পারছে না’-এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন নির্মাতা নাসির উদ্দিন মাসুদ।
গতকাল সোমবার (১০ মে) নির্মাতা নাসির উদ্দিন মাসুদের জন্মদিন ছিলো। এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (১১ মে) ঢাকার নিকেতনে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট-এর অফিসে জন্মদিনের কেক কাটা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ক্রাউন এন্টারটেইমেন্ট চেয়ারম্যান, ইংরেজি সাপ্তাহিক ব্লিটজ ও জমজমাট পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সালাহ্ উদ্দিন শোয়েব চৌধুরী, অভিনেতা ও নাট্যনির্মাতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক ও ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্টের ডেপুটি সিইও তাজুল ইসলামসহ আরো অনেকেই। কেক কাটার পর জমজমাট পত্রিকার প্রতিবেদক রঞ্জু সরকারের সাথে নিজের একান্ত আলাপচারিতায় উল্লেখিত মন্তব্য করেন নাট্যপরিচালক নাসির উদ্দিন মাসুদ।
তিনি বলেন, ‘নির্মাতাগন প্রত্যেকেই গুণী ও পরীক্ষিত নির্মাতা। নাটক নির্মাণ করাই তাদের পেশা। সেক্ষেত্রে সরকার যদি নাটকের দিকে নজর দেয়, তাহলে এই নির্মাতাদেরকে পেশাদারী হোক কিংবা মৌসুমী প্রযোজকদের আর খুজতে হতো না’।
সহযোগীতাটা কি হতে পারে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ‘সরকার যদি বাৎসরিক ২% হারে সুদে নাটকের পরিচালকদের ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করে দেয়, তাহলে পরিচালকরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ভালো নাটক তৈরী করে টেলিভিশন, ইউটিউব চ্যানেল বা ওটিটি প্লাটফর্মে বিক্রি করে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে পারবে। এক্ষেত্রে নাটক সেক্টরে নতুন প্রাণ সঞ্চারিত হবে। তখন একজন নির্মাতা নিজের মত করে বাঁধাহীনভাবে বা স্বাধীনভাবে নাটক নির্মান করতে পারবে। নাটক নির্মাতারা পেশাটাকে ধরে রাখতে পারবে’।
Leave a Reply