রোমান্টিক বাংলা সিনেমার মধ্যে প্রথম সারিতে যে নামগুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ‘সুজন সখী’। খান আতাউর রহমান পরিচালিত সিনেমাটি ১৯৭৫ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। এরপর ফারুক-কবরী জুটি দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন।
সুজন সখী ছাড়াও এই আইকনিক জুটি ‘জলছবি’, ‘ত্রিরত্ন’, ‘সারেং বউ’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘মধুমতি’, ‘শহর থেকে দূরে’, ‘আশা’সহ বেশকিছু সিনেমা দিয়ে বড় পর্দা মাতিয়েছে। তবে রোমান্টিক সিনেমা হিসেবে তাদের ‘সুজন সখী’ আজও নন্দিত।
সুজন সখীর ফারুক ২০২১ সালের ২১ মার্চ থেকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা অনেকটা উন্নতির দিকে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
ফারুক সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে থাকলেও এক বছর হলো কবরী সবাইকে ছেড়ে পরপারে রয়েছেন। ঢাকার শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে ২০২১ সালের ১৬ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঢাকাই সিনেমার এই মিষ্টি মেয়ে। আজ এই অভিনেত্রীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। দেখতে দেখতে কবরীবিহীন একটি বছর চলে গেল।
তবে এখানো হাসপাতালেই রয়েছেন নায়ক ফারুক। দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে তার রাত-দিন পার হচ্ছে। কখনো তার শরীরের অবস্থা ভালো আবার কখনো খারাপ। ভালো-মন্দ মিলিয়ে কেটে যাচ্ছে সবার প্রিয় মিয়া ভাইর দিন। তবুও ফারুক ভক্তরা আশাবাদী প্রিয় অভিনেতা, চলচ্চিত্রের অভিভাবক সুস্থ হয়ে ফিরবেন দেশে। সেই দিনের অপেক্ষায় সবাই।
চলচ্চিত্রের ‘মিয়া ভাই’খ্যাত অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক হাসপাতালে থাকাকালীন বেশ কয়েক বার অভিনেতার মৃত্যুর গুজব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। তবে ফারুকের পরিবার এসব গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করেন।
১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ সিনেমার মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন কবরী। কাজ করেছেন ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘ময়নামতি’, ‘ঢেউয়ের পর ঢেউ’, ‘পরিচয়’, ‘অধিকার’, ‘বেঈমান’, ‘অবাক পৃথিবী’, ‘সোনালী আকাশ’, ‘দীপ নেভে নাই’-এর মতো দর্শকপ্রিয় সিনেমাতে।
২০০৬ সালে তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘আয়না’ মুক্তি পায়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দ্বিতীয় সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’র নির্মাণ কাজ করছিলেন। তবে তা শেষ হওয়ার আগেই কবরী চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তিনি চলে গেলেও তার কাজ তাকে আজীবন বাঁচিয়ে রাখবে সবার মাঝে।
Leave a Reply