বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার রাজনীতিতে আসছেন। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে নিপুণ এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রেস্টুরেন্ট কিংবা ডাক্তারে কাছে আমি যেখানেই যাচ্ছি না কেন, সবাই এই একটাই প্রশ্ন করছেন। কেন করছে জানি না। তবে প্রধানমন্ত্রী ডাকলে অব্যশই তার সঙ্গে কাজ করতে চাই।
বর্তমানে চলচ্চিত্রে অনিয়মিত হলেও সম্প্রতি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন নিপুণ। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়ে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের কাছে পরাজিত হন তিনি। জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হেরে যাওয়ার পর ২৯ জানুয়ারি (শনিবার) পুনরায় ভোট গণনার জন্য আপিল বোর্ডে লিখিত আবেদন করেছিলেন অভিনেত্রী। পুনরায় ভোট গণনার পর জানানো হয় জায়েদ খানই জিতেছেন। তাতেও সন্দেহ যায়নি নিপুণের। তার অভিযোগ, জায়েদ খান টাকা দিয়ে ভোট কিনেছেন, নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করেছেন।
এরপর একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে দুজনেই আদালতের দ্বারস্থ হন। বর্তমানে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এখন সাধারণ সম্পাদকের পদে স্থিতাবস্থা রয়েছে। আগামী ৪ এপ্রিল (সোমবার) পর্যন্ত এ পদে কেউই বসতে পারবেন না। তবে তৃতীয়বারের মতো নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চেয়ারে বসতে দেখা গেছে নিপুণ আক্তারকে।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) নিপুণকে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে দেখা যায়। এমন বেশকিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোভা পাচ্ছে। যদিও বরাবরই নিপুণ বলে আসছেন তার দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বাধা নেই। তবে সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে এই নানা সিনেমাটিক ঘটনার অবসান হওয়ার কথা আগামী ৪ এপ্রিল (সোমবার)। এদিনই চূড়ান্ত হবে জায়েদ-নিপুণের ভাগ্য। সময়ই বলে দেবে কে হাসবেন শেষ হাসি।
২০০৬ সালে চলচ্চিত্রে নাম লেখান নাসরিন আক্তার নিপুণ। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘রত্নগর্ভা মা’, যা আজও মুক্তি পায়নি। তার অভিনীত ‘পিতার আসন’ প্রথম মুক্তি পাওয়া সিনেমা। এরপর ‘রিকশাওয়ালার প্রেম’, ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘বাবার কসম’, ‘বাবার জন্য যুদ্ধ’, ‘জমিদার বাড়ির মেয়ে’, ‘বড়লোকের জামাই’সহ বেশকিছু সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।
‘সাজঘর’ ও ‘চাঁদের মত বউ’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি নিজস্ব একটি পার্লার পরিচালনা করছেন নিপুণ।
Leave a Reply