চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন ঘিরে উত্তাল এফডিসি। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, মুনমুন ও জায়েদ খান কথা বলছেন। সেই ভিডিও ঘিরে গুঞ্জন উঠেছে জায়েদ মুনমুনকে টাকা দিয়েছে। এমন একটি ভিডিও ক্লিপ নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে গেছে। এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা মুনমুন বলেন, এফডিসির গেট দিয়ে প্রবেশের পর জায়েদ আমার কাছে এসে ওদের প্যানেলের একটা পোস্টার দিয়েছে। তখন আমার হাতে কালো মাস্ক ছিল। মাস্কটা ডান হাত থেকে বাম হাতে নিয়ে ব্যাগে রেখে দেই। আমার হাতের উপরে ওর (জায়েদ খান) হাত ছিল। হাতের নিচে কোনো হাত ছিল না।
জায়েদ হাত ধরে বলেছিল, আপু কয়েকদিন ধরেই নির্বাচন ঘিরে অনেক কথাই দেখতে পাচ্ছেন। শিল্পীদের নির্বাচন নিয়ে অনেক নোংরা রাজনীতি হচ্ছে। জায়েদ আমাকে বড় বোনের মতো মানে। দাঁড়িয়ে বিষয়গুলো নিয়ে আমাকে অভিযোগ করে। কথা বলতে বলতে আমি মাস্কটা ব্যাগে রাখতে ছিলাম।
যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেটি কিন্তু পুরো ভিডিও নয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, পুরো ভিডিও থেকে একটু অংশ কেটে একটি চক্র এটাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়িয়ে দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করছেন। জায়েদ আমাকে টাকা দিতে যাবে কেন? ওইদিন সবাই এ রকম ধরে ধরে কথা বলেছে। তাহলে কি সবাই টাকা দিয়েছে? টাকা দেওয়ার মতো এফডিসিতে অসচ্ছল অনেক শিল্পী আছেন। আমি কি রাস্তার লোক? তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে এখনো কি এমন বোকা আছে যে, প্রকাশ্যে টাকা দেবে। টাকা দেওয়ার উদ্দেশ্য থাকলে বাসায় দিয়ে আসত কিংবা বিকাশ করে পাঠিয়ে দিতো। যারা এটা ইস্যু করে ফায়দা নিতে চাচ্ছে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করে। আমার নামে অপপ্রচার হচ্ছে।
জায়েদ সম্পর্কে অনেক ভুল ধারনা ছিল জানিয়ে মুনমুন বলেন, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বুঝতে পারলাম জায়েদ প্রসঙ্গে যা সব রটে ছিল তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অপপ্রচার। ইউটিউবরা টাকার জন্য শিল্পীদের সম্মানহানী করছে। খুব শিগগিরই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
Leave a Reply