প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া ও শাপলা মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছেন ১৮ সংগঠন, চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীরা। বুধবার (৫ জানুয়ারি) চলচ্চিত্র শিল্পী, পরিচালক ও কলাকুশলীরা এ হামলায় প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেন।
প্রতিবাদ সভা শেষে বিএফডিসি থেকে কাওরান বাজার পর্যন্ত প্রতিবাদী মিছিল নিয়ে যায় শিল্পী-কলাকুশলীরা। উপস্থিত সবাই হামলার তীব্র নিন্দা জানান। সেই সঙ্গে অপরাধীদের শাস্তি কামনা করেন।
এ সময় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা জাকির হোসেন রাজু বলেন, ‘সেলিম খান কেন, একজন সাধারণ মানুষের উপরই বা কেন হামলা হবে? কেউ যদি অপরাধ করে তাহলে তার জন্য অভিযোগ দেওয়া যেতে পারে। আইনের আশ্রয় নেওয়া যায়৷ কিন্তু সন্ত্রাসী হামলা কেন হবে? সেলিম খান শুধু ১০০ সিনেমা নির্মাণ করছেন তাই নয়, সরকার থেকে একটি চ্যানেলের অনুমোদন পেয়েছে। সেই টেলিভিশনের জন্য যত চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজ নির্মিত হবে সব এই চলচ্চিত্রের মানুষেরা কাজ করবে। সেই মানুষটির ওপর আঘাত এসেছে। সেলিম খান শুধু আমাদের নয়, সরকারের একজন কর্মী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ৫০ বছরে কোনো সিনেমা নির্মিত হয়নি। কিন্তু সেলিম খান এরই মধ্যে দুটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। জাতির পিতাকে নিয়ে আরও চলচ্চিত্র নির্মাণাধীন রয়েছে।’
এ সময় তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও তথ্য মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা ফুটেজ চেক করে সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। পাশাপাশি সেলিম ভাইকে বলতে চাই- আপনি একা নন, আপনার পাশে চলচ্চিত্রের সবাই আছে।’
মানববন্ধনে অংশ নেন চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, জাকির হোসেন রাজু, শাহীন সুমন, সাদেক সিদ্দিকী, বজলুর রাশেদ চৌধুরী, অপূর্ব রানা, শামীম আহমেদ রনি, মিশা সওদাগর, ড্যানি সিডাক,জাহিদ হাসান, জায়েদ খান, অঞ্জনা রহমান, সাবরিনা সুলতানা কেয়া, সিমলা, আলেকজান্ডার বো, বাপ্পি চৌধুরী, জাহারা মিতু, জয়রাজ, সাইফ খান, জাদু আজাদ, সাঞ্জু জন, কমল পাটেকর, সীমান্ত প্রমুখ।
গত ২৮ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির অফিসে ৬০/৭০ জনের মতো অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত ঢুকে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা অপূর্ব রায়।
Leave a Reply