নিজের দর্শক – ভক্ত – শুভাকাঙ্ক্ষীদের দারুন একটি খুশির খবর দিয়ে পুরান বছর শেষ করলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় জয়া আহসান। আগামী এক বছরের জন্য এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী, মডেল, প্রযোজক ও সক্রিয় উন্নয়ন কর্মী জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)’র শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। নতুন বছর ২০২২ এর প্রথম দিন থেকে এটা কার্যকর হবে বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন জয়া আহসান।
বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশগ্রহণের কারণে জয়া আহসান ইতিমধ্যেই প্রশংসিত। ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে তিনি মূলত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনে সবার সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ইউএনডিপি’র শুভেচ্ছা দূত হতে পেরে একদিকে যেমন আনন্দিত, অন্যদিকে ইউএনডিপি’র সাথে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারবো ভেবে নিজেকে সম্মানিত মনে করছি। আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী রক্ষার জন্য যেই লক্ষ্যমাত্রা যা এসডিজি নামে পরিচিত, ২০৩০ সালের মধ্যে সেটি অর্জন করতে হলে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। আর আমি আমার কাজের মধ্যে দিয়ে এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে চেষ্টা করবো, যেন আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশসহ বিশ্বকে আরও সুন্দর, সহনশীল করে গড়ে তুলতে পারি’।
জয়া আহসান আরও বলেন, ‘এই পৃথিবীকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে তোলা আমাদের সবার অঙ্গীকার। আর এই অঙ্গীকার রক্ষা করতে হলে আমাদের সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তবেই কেবল এসডিজি অর্জন করা সম্ভব হবে।
ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, ‘জয়া আহসানের একজন শুধু জনপ্রিয় শিল্পী নন, পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ – এমন একজন ইউএনডিপি’র শুভেচ্ছা দূত হওয়াতে আমরা সৌভাগ্যবান । তার মাধ্যমে আমাদের কথা এখন দেশ ও দেশের বাইরে মানুষকে আরও বেশি করে পৌঁছানো যাবে। আমরা সবাই মিলে যেন সুন্দর, সুখী এবং সবার জন্য সমান একটি পৃথিবী গড়ে তুলতে পারি, যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না’।
জয়া আহসান ইউএনডিপি’র সাথে এসডিজি ছাড়াও আরও অন্যান্য বিষয় যেমন – দারিদ্র, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন, সহনশীলতা, পরিবেশ, জ্বালানি এবং লিঙ্গ সমতা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবেন।
Leave a Reply