বিগত বেশ কয়েকবছর ধরে সারা দেশজুড়ে নানান ধরনের সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম করে আসছে বাংলাদেশের সিনেমার নন্দিত নায়ক ‘ওমর সানী ফ্যান ক্লাব’। সামাজিক মানবিক কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করে তুলতে গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর রাজধানীর গুলশানের মন্টানা লাউঞ্জে ‘ওমর সানী ফ্যান ক্লাব’র উদ্যোগে এক আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক ওমর সানী। যদিও অনুষ্ঠানে প্রিয়দর্শিনী মৌসুমীর সম্মানীত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিলো, কিন্তু মৌসুমীর ‘ভাঙ্গন’ সিনেমার শুটিং থাকায় তিনি সেদিন উপস্থিত থাকতে পারেননি।
ফ্যান ক্লাব’র সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক’সহ আরো অন্যান্যরা জানান, মূলত দেশ ব্যাপী ওমর সানী ফ্যান ক্লাবের নানাবিধ কার্যক্রম বিশেষত সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করে তুলতে মূলত সারা দেশের বিভিন্ন জেলার শতাধিক সদস্য শুক্রবারের আনন্দ উৎসবে অংশগ্রহন করেন। ওমর সানী ফ্যান ক্লাব’ যেন দেশের অন্যান্য ফ্যান ক্লাব’র মধ্যে অনুসরনীয় একটি ফ্যান ক্লাবে পরিণত হয় এবং দেশের নানান স্তরের মানুষের সামাজিক, মানবিক কার্যক্রমে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখতে পারে এটাই তাদের আন্তরিক চেষ্টা।
সেই আন্তরিক চেষ্টা’র ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে মূলত নিরলসভাবে যারা কাজ করে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন সভাপতি মনজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন বিশ্বাস, আজীবন সম্মাননা সদস্য মোজাম্মেল হোসেন, উপদেষ্টা সচিব কিরণ খান, কোষাধ্যক্ষ তসলিম মৃধা, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম তালুকদার, পরিকল্পনা সম্পাদক এস কে সুমন, উপদেষ্টা আমির’সহ আরো অনেকে।
সুনামগঞ্জ থেকে ওমর সানী ফ্যান ক্লাব’র সিনিয়র সহ-সভাপতি জিয়া চৌধুরী মুঠোফোনে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,‘ এমন একটি আনন্দ উৎসবে এবং কার্যকরী অনুষ্ঠানে নিজের অসুস্থতার কারণে উপস্থিত থাকতে পারিনি। তবে আমি বিশ্বাস করি এই ফ্যান ক্লাবের প্রতেকেরই এক আত্ত্বা। আমরা সানী ভাইয়ের ফ্যান ক্লাবের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যেতে চাই যেন এই ক্লাব দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।’
চিত্রনায়ক ওমর সানী বলেন,‘ আমি একজন অভিনেতা, অভিনয়ই আমার পেশা। মানুষের ভালোবাসা আর দোয়া’র মাঝেই আজীবন বেঁচে থাকতে চাই। আমার ফ্যান ক্লাব’র প্রত্যেক সদস্যের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা। তারা আমার এই ফ্যান ক্লাবটিকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরলসভাবে শ্রম দিয়ে যাচ্ছে। তাদের ভালোবাসার কাছে আমি ঋনী। দেশজুড়ে নানান জায়গা থেকে এবারের আনন্দ উৎসবে অনেকেই যোগ দিয়েছেন, প্রত্যেকের প্রতি ভালোবাসা রইলো। সেইসাথে সবাইকে সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রমকে আরো বেগবান করে তোলার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
Leave a Reply