বাংলা চলচ্চিত্রের বর্তমান সময়ের চিত্রনায়ক জায়েদ খান। ‘ভূতের বাড়ি’খ্যাত বিএফডিসিতে সিনিয়র-জুনিয়র শিল্পীদের আনাগোনায় এখন মুখরিত হয় এফডিসি প্রাঙ্গণ।পরপর দুইবার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে এরই মধ্যে আলোচিত হয়েছেন।জায়েদ খান শিল্পী সমিতির দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সমিতি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। জরাজীর্ণ এই সমিতি ঢেলে সাজিয়েছেন তিনি।
এদিকে, একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে ঘিরে ‘সহশিল্পীদের অনৈতিক প্রস্তাব’- এমন শিরোনামে একটি খবর প্রচার হয়। এসব ভিত্তিহীন বলে জানান জায়েদ খান। তার ভাষায়- যখন শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি, তখন কিছু কুচক্রী মহল আমার কাজে হিংসা করে বিভিন্ন ভিত্তিহীন গুজব ছড়াচ্ছেন।
চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেন, ‘যে খবরটি দেখলাম তার কোন সত্যতা নেই। কোনো শিল্পী বলতে পারবেন না আমি কখনও তাদের অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছি। যারা ঐ সংবাদে কথা বলেছেন তারা তো মূল ধারার শিল্পীই নয়। যে কেউ রাস্তা থেকে এসে একটা কথা বলবে তাতেই হয়ে যাবে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় থেকে মাস্টার্স পাস করে ভালো চাকরি না নিয়ে চলচ্চিত্র ভালোবেসে সিনেমায় নাম লিখিয়েছি। শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে শিল্পীদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। তার প্রতিদান এই? করোনার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসচ্ছল শিল্পীর জন্য নিরলশভাবে কাজ করেছি। সবাইকে অনুরোধ করব কেউ গুজবে কান দিবেন না। শিল্পীদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব।’
জায়েদ খান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেশ কয়েক জন চিত্রনায়িকা বলেন, ‘আমরা জায়েদ খানকে বেশ কয়েক বছর ধরে চিনি। নিজে তো নয়, কখনও অন্য নায়িকাদের জায়েদ খানকে নিয়ে এ রকম অভিযোগ করতে শুনিনি। যে অনৈতিক প্রস্তাবের কথা বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’
নামে প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নায়িকা বলেন, ‘আমি দেশের প্রথমসারির নায়কদের সাথে কাজ করে কুপ্রস্তাব পেয়েছি। বরং জায়েদ খান কোনো দিন একটি খারাপ শব্দও ব্যবহার করেনি। বরং সব সময় তিনি শিল্পীদের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমাকেও বিভিন্ন সমস্যার সময় তিনি সহযোগিতা করেছেন।’
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পীদের। গত বছরের মার্চে আসা করোনায় বন্ধ হয়ে যায় সিনেমার শুটিং ও মুক্তি। যার ফলে বিপাকে পড়েন শিল্পীরা। অনেকেই পেশা বদল করে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন। করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে নিম্ন আয়ের শিল্পী ও কলাকুশলীদের কয়েক দফা সহযোগিতা করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি।
এছাড়াও সরেজমিনে দেখা গেছে, করোনায় কেউ মারা গেলে জায়েদ খান নিজে একাই ছুটে গেছেন হাসপাতালে কিংবা লাশের খাটিয়া কাঁধে নিতে। সর্বশেষ অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী ও সোনালী দিনের নায়ক ওয়াসিমের লাশ নিজে কাঁধে তুলে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছেন নেতা জায়েদ খান। যার জন্য প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা তাকে ‘করোনা বীর’ উপাধি দেন।
Leave a Reply