ঈদের বিশেষ নাটক মনজু’র ‘খয়ের পান’নির্মিত হলো ঈদের বিশেষ নাটক ‘খয়ের পান’ । রচনা করেছে সজল আহমেদ। পরিচালনা করেছে মনজুরুল হক মনজু।
গল্প দেখা যাবে-জরাজীর্ণ দু’টি ট্রেনের বগির মধ্যেখানে একটি লোক, অন্য একটি লোককে হত্যা করে দিব্যি হেঁটে যেতে থাকে। প্রিভিউতে দেখা যাবে- লোকটি হত্যার আগে বেশি খয়ের দিয়ে ভিকটিমকে পান খাওয়ায়। পরে পানের পিক ফেলতে বলে। যদি পানের পিক লাল পড়ে, তাকেই হত্যা করে।
হত্যাকারী একজন পেশাদার খুনি। তার নাম সলেমান। তার রেল লাইনের পাশে বস্তির মতো যায়গায় একটি চা-পানের দোকান আছে।
সলেমান সারাদিন পান বিক্রি করে। আর খোশ গল্প করে। মিথ্যা মিথ্যা গল্প বলে- মানুষকে প্রেরণা দেয়। কিন্তু মাঝে মাঝে সলেমানের কাছে একটি লোক একটি পানের খিলি নিতে আসে। আর একটি পাঁচশ টাকার নোট দিয়ে যায়। যে টাকার নোটে ভিকটিমের নাম ও ঠিকানা থাকে।
টাকায় যে লোকটির নাম ও ঠিকানা থাকে সেই লোকটিই হত্যা হয়। পুলিশ প্রতিটি লাশ সনাক্ত করে দেখে প্রত্যেকটি লোক রেপিস্ট। স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচরিত হতে থাকে, একজন সিরিজ কিলার প্রতিটি রেপিস্টকে হত্যা করছে। পুলিশ হন্যে হয়ে সিরিজ কিলারকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু হত্যাকারীর কোন মোটিভ খুঁজে পায় না।
কিছুদিন পর আবার একজন খুন হয়, এবার লাশের পাশে পুলিশ একটি পাঁচশ টাকার নোট পায়। সেই পাঁচশ টাকার নোটের রেশ ধরে সিরিজ কিলারকে খুঁজে বেড়ায়। পরবত্তীর্তে পাঁচশ টাকাকে ডিএনএ পরীক্ষা করে জাতীয় আইডি কার্ডে ফিঙ্গার প্রিন্ট থেকে হত্যাকারী সনাক্ত হয়, সিরিজ কিলার সলেমান। পুলিশ সলেমানকে তার পানের দোকান থেকে এরেস্ট করে। রিমান্ডে নেয় কোন তথ্য বের হয়ে আসে না, কেন বা কে তাকে দিয়ে এই হত্যাগুলি করায়?
সলেমানের ফাঁসির আদেশ হয়। কিন্তু ফাঁসির আগে- পুলিশ সলেমানের শেষ ইচ্ছে পুরণ করে। আই সি ইউ তে তার ১৬ বছরের একমাত্র মেয়ে নাম সুনয়না একটি মরণব্যাধির সাথে লড়ছে, তাকে দেখতে চায় সলেমান।
আসলে মেয়ের চিকিৎসার খরচ যোগাতে তাকে এই হত্যগুলি করতে হয়। কিন্তু প্রশ্ন রয়েই যায় তা’হলে সলেমানকে দিয়ে যে হত্যা করায়, সে কে?
সলেমান তার মেয়েকে হাসপাতালে একজন ব্যক্তির হাতে উঠিয়ে দিয়ে আসে। যে লোকটির হাতে মেয়েটিকে উঠিয়ে দিয়ে আসে মূলত সেই লোকটিই সলেমানকে দিয়ে হত্যা করায়।
তার নাম সালাম হাজরা, শহরের একজন বড় বিজনেসম্যান। তিনি সলেমানের মেয়েটিকে চিকিৎসা করায়। যদি সলেমান পুলিশকে বলে দেয়, সেই আসল হত্যাকারী তবে তার মেয়েটি চিকিৎসার অভাবে মারা যাবে।
সালাম হাজরা, সুনয়নাকে নিজের মেয়ের যায়গা দিয়ে বাসায় নিয়ে যায়। সুনয়নাকে সালাম হাজরার স্ত্রী (মানসিক রোগী), দেখে আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠে। সলেমানের ফাঁসি হয়।
সালাম হাজরার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা উঠে আসে। সলেমানের সাথে সালাম হাজরার দেখা হয় পানের দোকানটিতে । তখন সলেমান তার কষ্টের কথা বলে। সালাম হাজরা তার মেয়ের চিকিৎসার ভার নেয়। কিন্তু একটি শর্তে- এই হত্যা করতে হবে। সলেমান কোন উপায় না দেখে রাজি হয়। প্রথম যে লোকটিকে হত্যা করা হয়। ঐ লোকটি সালাম হাজরা ১৬ বছরের মেয়ে সালমা হাজরাকে রেপ করে হত্যা করে। সেই শোকে তার স্ত্রী মানসিক রোগী হয়ে উঠে। এরপর থেকে সালাম হাজরা প্রতিদিন সকালে পত্রিকা খোলে রেপিং নিউজগুলিকে খুঁজে বের করে। রেপারের নামে ক্রসচিহ্ন দেয়। এই ছিল নেপথ্যের কাহিনী।
নাটকটি যারা অভিনয় করেছেন-ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, শেলি আহসান, খায়রুল আলম টিপু, মেহজাবিন মায়া, জাফরিন জেরিন প্রমুখ।
নাটকটি ঈদে বৈশাখী টেলিভিশনে প্রচারিত হবে।
Leave a Reply